ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার মালুমঘাট ডুমখালীতে বনাঞ্চলের কাঠ দিয়ে অবৈধ বোট তৈরীর হিড়িক

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট ডুমখালী এলাকার রিক্সার নাম্বার ও চিরামুরা এলাকায় পৃথক স্থানে বশিরের নেতৃত্বে সরকারী বনের সংরক্ষিত বন থেকে মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে অবৈধ ভাবে ৪টি বোট তৈরীর হিড়িক পড়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ডুলাহাজারা বিটের মালিকানাধীন ও রেঞ্জ অফিস থেকে ২-৩ কিলোমিটির পশ্চিমে ডুমখালী রিক্সার নাম্বার ও চিরামুরা এলাকায় মৃত আবদুল মতলবের পুত্র বশির আহমদের নেতৃত্বে উম্মোক্ত স্থানে দাফট দেখিয়ে অবৈধ ভাবে পৃথক স্থানে ২টি করে ৪টি বোর্ট নির্মান করছে। এছাড়াও ওই এলাকার আশ পাশে আরো কয়েকটি বোর্ট তৈরী হচ্ছে।
স্থানীরা জানিয়েছে, সরকারের সংরক্ষিত বনের সংরক্ষিত বন থেকে মূল্যবান গাছ কেটে এসব বোর্ট তৈরী করা হচ্ছে। যার কারণে সরকার রাজস্বের পাশাপাশি বনবিভাগের মূল্যবান কাটের মূল্যও চলে যাচ্ছে।
মালুমঘাট ডুমখালী এলাকার নুুরুল আলম জানিয়েছে, রেঞ্জকর্মকর্তার নাকের ডগায় বশির আহদের নেতৃত্বে ৪টি বোট তৈরী করা হলেও কোন ধরণের ব্যবস্থা না নিয়ে এসব বোট তৈরীর কাজে সহযোগিতা করছে। তিনি আরো দাবী করছেন, ওই কর্মকর্তা বশির থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সরকারী বনাঞ্চল থেকে কাঠের যোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। যার কারণে এসব এলাকায় রেঞ্জকর্মকর্তা কোন ধরণের অভিযান পরিচালনা না করে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বশির আহমদের সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, পুরাতন বোট মেরাতম করা হচ্ছে। তবে নতুন ভাবে ২টি বোট তৈরী করা হচ্ছে যা স্থাণীয় রেঞ্জকর্মকর্তা অবগত রয়েছে। তিনি আরো জানান, অবৈধ বোট নির্মানের সাথে তিনি ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন জড়িত রয়েছে।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছে এ নিয়ে ফোন করা হলে, ওই এলাকায় বোট তৈরীর কথা বলামাত্রই ফোন কেটে দেয়ার কারণে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সচেতন মহল দাবী করনে, সরকারের সংরক্ষিত বন থেকে কাঠ নিয়ে অবৈধ ভাবে বোর্ট তৈরীর কারণে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। ঠিক অন্যদিকে বনসম্পদ ধ্বংস ও পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তারা দ্রুত ওই এলাকায় অবৈধ ভাবে নির্মিত বোর্ট গুলো জব্ধকরে নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।

পাঠকের মতামত: